কুরআন ও হাদিস অনুসারে আকাইদ সম্পর্কে প্রতিবেদন class 6
তোমরা যারা ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়াশোনা কর তাদের কিন্তু পরীক্ষাতে আকাইদ সম্পর্কে প্রতিবেদন আসে।আর সেই প্রতিবেদনের জন্য তোমাদের কিন্তু কুরআন ও হাদিস অনুসারে আকাইদ সম্পর্কে প্রতিবেদন class 6 এরটি লেখার প্রয়োজন হয়। তো তুমি যদি তোমার পরীক্ষাতে এই প্রতিবেদনের জন্য পরিপূর্ণ মার্কস অর্জন করতে চাও তাহলে তোমাকে আকাইদ সম্পর্কে প্রতিবেদন class 6 এর জন্য ভালোভাবে মুখস্ত করবে।
তাই তোমাদের সুবিধার্থে আমাদের আজকের এই আর্টিকেল জুড়ে সুন্দর ফরম্যাটিং করে এবং কিভাবে শিক্ষকেরা প্রতিবেদন লেখাকে পছন্দ করে থাকে সেই বিষয়টি বিবেচনা করে কুরআন ও হাদিস অনুসারে আকাইদ সম্পর্কে প্রতিবেদন class 6 জন্য লেখা হয়েছে। তাই তোমরা যারা পরীক্ষায় ভালো করতে চাও তারা মনোযোগ দিয়ে শেষ পর্যন্ত ধৈর্য ধরে পড়তে থাকে।
প্রতিবেদনে ফুল মার্কস পাওয়ার নিঞ্জা টেকনিক
প্রতিবেদন লিখতে হলে কিন্তু তোমাকে অবশ্যই বা কিছু নিয়ম অবলম্বন করতে হবে। অর্থাৎ সোজা কথাই বলতে গেলে তুমি যেরকম সাধারণভাবে ভাব সম্প্রসারণ লেখো সেভাবে লিখলে কিন্তু হবে না। ভাব সম্প্রসারণের একটি নিয়ম আর প্রতিবেদন লেখার কিন্তু আরেকটি নিয়ম।
প্রতিবেদনের জন্য আলাদা ফরমেটিং রয়েছে, তোমাকে সেই ফরমেটিং টি অনুসরণ করে লিখতে হবে। যদিও ভিতরের লেখা গুলো মোটামুটি ফরম্যাটিং এর লেখা যায় কিন্তু প্রথম দিকে তোমাকে অবশ্যই কয়েকটি বিষয় উল্লেখ করে সাজিয়ে গুছিয়ে লেখার প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে।
প্রথমে, প্রতিবেদন যে লিখছে অর্থাৎ তোমার নাম উল্লেখ করবে। এজন্য প্রতিবেদন লেখকের জায়গায় তোমার নাম দিয়ে দেবে। এরপরে দিতে হবে পদবি, তবে এই পদবী তুমি চাইলে দিতে পারো আবার নাও দিতে পারো। যদি উল্লেখ না করো সেক্ষেত্রে কোন প্রকার সমস্যা হবে না। তবে সুন্দরভাবে ফরমেটিং এর জন্য পদবী উল্লেখ করলেও করতে পারো।
এর পরে তোমাকে অবশ্যই তারিখ দিতে হবে, তুমি যে তারিখে প্রতিবেদন লিখছো সেই তারিখটির সুন্দরভাবে উল্লেখ করে দিবে। তবে এখানে অবশ্যই বাংলিশ টাইপের কিছু লেখা যাবে না। তুমি যেহেতু বাংলায় প্রতিবেদন লিখবে তাই তার তারিখও বাংলায় লিখতে হবে।
এরপরে চলে আসবে মূল প্রতিবেদনের মধ্যে। এখানে তোমাকে মূল বিষয়গুলো উল্লেখ করে লিখতে হবে পয়েন্ট আকারে। পয়েন্ট আকারে লিখলে যে কোন শিক্ষক তোমাকে অধিক তার গুরুত্বপূর্ণ প্রদান করবে এবং তোমার লেখাকে মার্জিত মনে করবে। আর কোন শিক্ষক যদি কোন শিক্ষার্থীর লেখা মার্জিত মনে করে তাহলে সেক্ষেত্রে শিক্ষকেরা পরিপূর্ণ মার্ক দিতে বাধ্য থাকে।
তাই তুমি যদি ফুল মার্কস অর্জন করতে চাও তাহলে তোমাকে পড়াশোনার পাশাপাশি প্রতিবেদন এর জন্য বিশেষ কিছু টেকনিক অবলম্বন করতে হবে যেগুলোর মাধ্যমে বেশি নাম্বার উঠানো যায়। এরপরে তুমি যখন মূল প্রতিবেদনের মধ্যে আকাইদ সম্পর্কে লিখবে তখন প্রথমে লিখবে তখন প্রথমে দেবে ভূমিকা।
লেখা হয়ে গেলে আকাইদের গুরুত্ব সম্পর্কে কিছুটা ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করবে। আর এই অংশের মধ্যে তুমি এমন কিছু বিষয় উল্লেখ করবে যেটা আমাদের পার্থক জীবনের সাথে ব্যাপকভাবে সম্পর্কিত। এর পরে তুমি চলে যাবে আকাইদের প্রধান বিষয়গুলোর মধ্যে অর্থাৎ কোন কোন বিষয়গুলো আকাইদের অন্তর্ভুক্ত।
এইগুলো লেখার পরে তুমি সর্বশেষে উপসংহার দেবে। আর মনে রাখবে এই উপসংহারের মধ্যে তুমি এমন কিছু তথ্য প্রদান করবে যে উপসংহার যদি কেউ পড়ে তাহলে সম্পর্কিত প্রতিবেদনের প্রত্যেকটি বিষয় সম্পর্কে সামগ্রিক ধারণা পেয়ে যাবে। এই ফর্মেটিং অনুসরণ করতে পারলে পরিপূর্ণ মার্কস পাওয়া যাবে।
কুরআন ও হাদিস অনুসারে আকাইদ সম্পর্কে প্রতিবেদন class 6
আপনি ইতিমধ্যে আমাদের আর্টিকেলের মূল আলোচ্য বিষয় এর মধ্যে প্রবেশ করেছেন। আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি যেভাবে উল্লেখ করা হয়েছে আপনি যদি সেভাবে প্রতিবেদন লিখতে পারেন তাহলে ১০০ পার্সেন্ট মার্কস অর্জন করে নিতে পারবেন আপনার শিক্ষকের কাছ থেকে।
তো প্রতিবেদন জন্য লেখার সময় আমরা ভূমিকা দিয়ে শুরু করবো এরপরে আকাইদ কি এবং আকাইদের প্রধান উপাদান সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। এরপরে আমরা অতিরিক্তভাবে আকাইদ সম্পর্কে মানুষের কিছু ভুল ধারণা সম্পর্কে আলোচনা করব।
আপনি চাইলে আপনার লেখার মধ্যে এই আকাইদ সম্পর্কিত ভুল ধারণা গুলো উল্লেখ করতে পারেন আবার নাও করতে পারেন এটি সম্পূর্ণরূপে আপনার ব্যক্তিগত বিষয়। তবে যেহেতু বিস্তারিত আলোচনা করা হচ্ছে তাই আপনার উচিত এই বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত রাখা।
এ সমস্ত বিষয়গুলো আলোচনা করার পরে আমরা ফিনিশিং হিসেবে এবং প্রতিবেদনের নিয়ম অনুসারে উপসংহার উল্লেখ করব। উপসংহারের মধ্যে এমন করে বিষয়গুলোকে উল্লেখ করব যাতে যদি কেউ উপসংহার করে তাহলে উপরের সব তথ্য গুলোর সংক্ষিপ্ত রূপ দেখতে পাবে।
আকাইদ সম্পর্কে প্রতিবেদন class 6
ভূমিকাঃ ইসলামের অন্যতম মূল ভিত্তি হলো আকাইদ। কুরআন এবং হাদিসের মতাদর্শে আকাইদ মুসলিমদের জীবনযাত্রাকে আরো গোছালো করে তুলতে পারে। আর প্রত্যেক মুসলমানদের জন্য আকাইদের বিষয়বস্তুগুলো জেনে রাখা এবং সেগুলোর প্রতি বিশ্বাস আনা ফরজ।
আকাইদ কিঃ আকাইদ অর্থ হলো বিশ্বাস। ইসলামের মৌলিক ভিত্তিগুলো বিশ্বাস করা এবং সেই অনুসারে আমল করা প্রত্যেক মুসলমানদের জন্য অপরিহার্য বিষয়ের অন্তর্ভুক্ত। মুসলমান হিসেবে এই বিষয়ে জ্ঞান অর্জন এবং বাস্তব জীবনের সেগুলো প্রয়োগ করার ভিত্তিতে জীবন গড়ে তুললেই চিরস্থায়ী সুখের জায়গা লাভ করা যাবে।
আকাইদের প্রধান উপাদানঃ আকাইদ বেশ কিছু স্তম্ভের উপরে ভিত্তি করে দাঁড়িয়ে আছে। এই স্তম্ভ গুলো সম্পর্কে জানা এবং সেগুলোর উপর ঈমান না আনলে সে কখনোই নিজেকে মুসলিম হিসেবে দাবি করতে পারে না। নিজের এই বেশ কয়েকটি বিষয়গুলো আকাইদের অন্তর্ভুক্ত।
প্রথমে আল্লাহর উপরে বিশ্বাস, আল্লাহ এক এবং অদ্বিতীয়। তার সম্পর্ক কেউ নেই। আমাদের আশেপাশে যে বিষয়গুলো দেখি কিংবা না দেখে সবগুলোই তিনি সৃষ্টি করেছেন। তিনি এই বিশ্ব মন্ডল এককভাবে পরিচালনা করেন। তাই আল্লাহর উপরে ঈমান আনতে হবে।
দ্বিতীয়ত ফেরেশতাদের উপরে বিশ্বাস, আমরা ফেরেশতাদের চোখে দেখতে পাই না কিন্তু তাদের অস্তিত্ব রয়েছে। যেমন বাতাস চোখে দেখা যায় না কিন্তু অনুভব করা যায় ঠিক তেমনিভাবে ফেরেশতাদের অস্তিত্ব আমরা কখনোই চোখে দেখতে পারিনা। তবে যারা আল্লাহর কুদরত প্রাপ্ত রয়েছে তারা অবশ্যই ফেরেশতাদের দেখেছে। এজন্য আমরা ফেরেশতাদের দেখে কিংবা না দেখি তাদের অস্তিত্ব সম্পর্কে আমাদের বিশ্বাস করতে হবে।
তৃতীয়ত আসমানী কিতাব সমূহের উপরে বিশ্বাস, আল্লাহতালা প্রত্যেক জাতির দিকনির্দেশনা হিসেবে কিতাব নাযিল করেছেন। তার মধ্যে আসমানী কিতাব হল চারটি, যথাঃ তাওরাত, যাবুর, ইনজিল ও সর্বশেষ মহাসমানি কিতাব আল কোরআন যা শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর উপরে নাযিল করা হয়েছিল।
চতুর্থ, নবী-রাসূলগণের উপর বিশ্বাস। আল্লাহতালা যুগে যুগে মানুষদের আল্লাহর সন্নিকটে নিয়ে আসার জন্য এবং ইসলামের বাণী প্রচারের জন্য নবী-রাসূল পাঠিয়েছেন। আর নবী রাসূলের উপরে আবার কিতাব নাজিল করেছেন, যেগুলো দিয়ে তারা মানুষদের দিক নির্দেশনা দিত।
পঞ্চম আখেরাতের উপর বিশ্বাস, প্রতিটি সেকেন্ড আমরা কি করেছি সেই প্রত্যেক সেকেন্ডের হিসাব পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে প্রদান করতে হবে। তাই কোন ব্যক্তি যদি আখেরাতে পরিপূর্ণভাবে বিশ্বাস করে এবং আল্লাহর সামনে জবাব দিয়ে তার ভয় করে তাহলে সে কখনোই দুনিয়াতে গুনাহের কাজে নিজেকে লিপ্ত রাখতে পারবে না।
ষষ্ঠ তকদিরের ওপরে বিশ্বাস, আল্লাহ তায়ালা সবকিছু জানেন এবং দেখেন। ভাগ্যে বিশ্বাসের জন্য সামান্য কিছু কথা উপস্থাপন করব যেটি মন দিয়ে ভালোভাবে বুঝলেই ভাগ্যের উপরে বিশ্বাস করা সম্ভব। মনে করুন আপনি একটি কাজ করছেন এবং সেই কাজের একটি ফলাফল আশা করছেন, এটা হল স্বাভাবিক। বিষয়টা হলো আপনি যে একটি কাজ করছেন সেটার অগ্রিম ফলাফল আল্লাহ কিভাবে লিখল? এটাই হলো প্রশ্ন।
আমাদের ভাগ্য পৃথিবীতে আসার আগেই লিখিত করে রাখা হয়েছে। এবং আমরা পৃথিবীতে এসে যে কাজগুলো করব সেগুলোর সাথে ভাগ্যের লিখন মিলে যাবে। তবে কিছু ক্ষেত্রে দোয়ার মাধ্যমে কিন্তু ভাগ্য পরিবর্তন করা সম্ভব সেটা অন্য বিষয়। আল্লাহ তা'আলা প্রত্যেক ব্যক্তির মনের বাসনা এবং চাহিদা কেমন সে সম্পর্কে জানেন।
আল্লাহ তায়ালা জানেন যে এই মানুষটিকে যদি আমি এই জিনিসটা দিই তাহলে সেটা সে কিভাবে ব্যবহার করবে। অর্থাৎ আপনি একটি জিনিসকে ভালোভাবে ব্যবহার করবেন নাকি খারাপ ভাবে ব্যবহার করবেন সেটা আল্লাহতালা আগে থেকেই জানে, তাই তিনি সেটা লিখতে পেরেছেন।
সোজা কথাই বলতে গেলে আল্লাহ তাআলা লিখে রেখেছেন এজন্যই যে আপনি সেটা পাচ্ছেন বিষয়টি এরকম নই, আপনি সেটা পাবেন এবং সেটা আল্লাহতালা আগে থেকেই জানে এজন্যই তিনি সেটা লিখে রেখেছেন।
আকাইদ সম্পর্কিত ভুল ধারণাঃ অনেক মুসলমানদের মধ্যে আকাইদ সম্পর্কে সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ধারণা না থাকার কারণে তারা বিশেষ কিছু ভুলকে বাস্তব মনে করে এবং সেগুলোকে এবাদত মনে করে আমল করতে থাকে। আর এগুলোর মধ্যে সবথেকে জঘন্যতম শিরক করা। তাই এই ধরনের ভুল থেকে আমাদের বেঁচে থাকতে হবে এবং আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করতে হবে যাতে এই ধরনের ভুলগুলো আমরা আমাদের জীবন দশায় কখনোই না করি।
উপসংহারঃ আকাইদ সম্পর্কে উপরে যে তথ্যগুলো উল্লেখ করা হয়েছে সেগুলো সম্পর্কে পরিপূর্ণ ধারণা রাখতে হবে এবং সেই অনুসারে আমল করতে হবে। যেহেতু এটি ইসলামের মূল ভিত্তি প্রস্তর তাই এটি পরিপূর্ণভাবে অনুসরণ করলে ইসলামকে বোঝা এবং আমল করা অনেক সহজ হয়ে যায়।
শেষ কথা: আকাইদ সম্পর্কে প্রতিবেদন class 6
আশা করি আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি আকাইদ সম্পর্কে প্রতিবেদন class 6 এর জন্য সর্বোচ্চ মার্কস অর্জন করতে পারবেন। আর এই আর্টিকেল থেকে আপনি যদি সামান্যতম উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে আপনার অন্যান্য শিক্ষার্থী বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url