ক্রিয়েটিনিন কমানোর হোমিও ঔষধ-ক্রিয়েটিনিন বাড়লে কি হয়
ক্রিয়েটিনিন হল শরীরের পেশির মেটাবলিজম থেকে উৎপন্ন একটি বর্জ্য যা আমাদের কিডনি দ্বারা রক্ত থেকে বের করে প্রস্রাবের মাধ্যমে নিষ্কাশন হয়ে থাকে । অনেকেই জানতে চায় ক্রিয়েটিনিন কমানোর হোমিও ঔষধ সেই সম্পর্কে । এ ছাড়া ক্রিয়েটিনিন সম্পর্কে বাড়লে কি হয় এবং ক্রিয়েটিনিন সম্পর্কে সকল তথ্য আজকের এই পোস্ট এর মার্ধম এ জানতে পারবেন ।
প্রিয় পাঠক আজকের এই পোস্ট টি আপনাদের জন্য অধিক গুরুপ্তপুর্ন হতে যাচ্ছে । আজকের পোস্ট এর মার্ধম এ ছেলে মেয়ে উভয় ক্রিয়েটিনিন এর মাত্রা জানতে পারবেন । শিশুদের ক্রিয়েটিনিন কত সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন । তাহলে চলুন বিস্তারিত আলোচনা করা যাক ।
ক্রিয়েটিনিন বাড়লে কি হয়
ক্রিয়েটিনিন বাড়লে কি হয় তা হলঃ কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে যেমন রক্তে ক্রিয়েটিনিন বেশি থাকা মনে কিডনি সঠিকভাবে বর্জ্য অপসারণ করতে পারছে না । প্রসবের সমস্যা হতে পারে প্রসবের পরিমাণ কমে যেতে পারে বা অন্ধ হয়ে যেতে পারে এছাড়াও প্রসাবে ফেনা দেখা দিতে পারে । ক্রিয়েটিনিন অতিরিক্ত বেড়ে গেলে শরীরের বিভিন্ন স্থানে পানি জমতে পারে যেমন হাতে পায়ে মুখে বিভিন্ন স্থানে ফুলে যেতে পারে ।
এছাড়াও ক্রিয়েটিনিন বেশি হলে বা বেড়ে গেলে শ্বাসকষ্ট দেখা দিতে পারে । বমি বমি ভাব হতে পারে রক্তে বর্জ্য পদার্থ জমা কারণে ক্ষুধামন্দা বা বমি বমি ভাব হতে পারে । এছাড়াও আপনার উচ্চ রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে কেননা কিডনির সমস্যার কারণে রক্তচাপ বেড়ে যায় এবং এটা হৃৎপিণ্ড জন্য ক্ষতিকর । হৃদপিন্ডের সমস্যা আপনারা যদি ক্রিয়েটিনিন অতিরিক্ত বেশি থাকে তাহলে হৃদরোগ বা হার্ট ফেইলিউর এর মতো জটিল স্যামসা হতে পারে ।
আশা করি বুঝতে পেরেছেন ক্রিয়েটিনিন বারলে কি হয় সেই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সমুহ । আজকের এই পোস্ট এর মার্ধমে আপনি ক্রিয়েটিনিন সম্পর্কে সকল বিষয় তথ্য জানতে পারবেন ।
ক্রিয়েটিনিন কেন বাড়ে
ক্রিয়েটিনিন কেন বেড়ে যায় সে সম্পর্কে আপনার জেনে রাখা অবশ্যই উচিত । কেননা আপনি যদি না জানেন যে ক্রিয়েটিনিন কেন বেড়ে যায় তাহলে আপনি এটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না । তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক ক্রিয়েটিনিন বেড়ে যাওয়ার কারণসমূহ কি কি সেই সম্পর্কে ।
ক্রিয়েটিনিন বেড়ে যাওয়ার সাধারণ কারণগুলো হচ্ছে দীর্ঘদিন কিডনির অসুখ এছাড়াও পানি শূন্যতা বা ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপ । এছাড়া আপনার যদি কোন দুর্ঘটনায় পেশি নষ্ট হয়ে গেলে ক্রিয়েটিনিন বেড়ে যায় সম্ভাবনা থাকে । এছাড়াও কিছু ওষুধের সাইড ইফেক্ট বা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার জন্য ক্রিয়েটিনিন বেড়ে যায় । এবং আপনি যদি অধিক পরিমাণে প্রোটিনযুক্ত খাবার খেয়ে থাকেন তাহলে ক্রিয়েটিনিন বেড়ে যাওয়া সম্ভাবনা রয়েছে ।
ক্রিয়েটিনিন বেড়ে যাওয়ার লক্ষণ
ক্রিয়েটিনিন বেড়ে যাওয়ার লক্ষণ সম্পর্কে অনেকের তেমন ধারণা নেই । তবে আপনি যদি আগে থেকে বুঝতে পারেন যে আপনার ক্রিয়েটিনিন বেড়ে যাচ্ছে তাহলে আপনি আগে থেকে সতর্ক হতে পারবেন । আজকের পোষ্টের মূল বিষয় হলো ক্রিয়েটিনিন বেড়ে যাওয়ার লক্ষণ সম্পর্কে আপনাদের সচেতন করা । তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক ক্রিয়েটিনিন বেড়ে যাওয়ার লক্ষণসমূহ কি কি সেই সম্পর্কে ।
ক্রিয়েটিনিন বেড়ে যাওয়ার লক্ষণ হল শারীরিক দুর্বলতা ও ক্লান্তি ভাব । এবং মুখ বা শরীর এবং শরীরের বিভিন্ন অংশ ফুলে যাওয়া । এছাড়াও প্রস্রাবের পরিবর্তন যেমন প্রসবের পরিমাণ কমে যাওয়া অথবা একদম বন্ধ হয়ে যাওয়া । এবং প্রস্রাবের ফেনা বা দুর্গন্ধ অথবা রক্ত বের হওয়া । বমি বমি ভাব ক্ষুধামন্দা বা পেটের অস্বস্তি ভাব হওয়া । শ্বাসকষ্ট কেননা শরীরে পানি জমে গেলে ফুসফুসের প্রভাব পড়ে তাই শ্বাসকষ্ট নিতে অসুবিধা হয়ে থাকে । ত্বকে চুলকানি বা এলার্জি ভাব হওয়া । মাথা ঘোরা ও মনোযোগ পেটে খিচুনি দেখা দিতে পারে ।
আরো পড়ুনঃ মিলফিন খাওয়ার নিয়ম খেলে কি হয়
উপরে আলোচিত যে কোন সমস্যা হলে আপনি অতি দ্রুত একজন অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন কেননা ক্রিয়েটিনিন বেশি হলে আপনার বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হতে হতে পারে । আশা করি বুঝতে পেরেছেন যে ক্রিয়েটিনিন বেড়ে যাওয়ার লক্ষণ কি কি সেই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্যসমূহ ।
কি কি খাবারে ক্রিয়েটিনিন বাড়ে
কি কি খাবারে ক্রিয়েটিনিন বাড়ে সেই সম্পর্কে জানতে আপনি সম্পুর্ন পোস্ট টি মনোযোগ সহকারে পড়ুন । ক্রিয়েটিনিন মুলত বর্জ্য পদার্থ যেটা মেটাবলিজম থেকে উৎপন্ন হয়ে রক্ত থেকে ফিল্টার হয়ে প্রস্রাবের মার্ধম এ বের হয়ে যায় । কিছু কিছু খাওয়ার এর জন্য ক্রিয়েটিনিন বেড়ে যায় সেই খাবার গুলোর তালিকা নিচে উল্লেখ করা হলোঃ
- গরুর মাংস, খাসির মাংস, মুরগি
- ডিম
- দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য (পনির, দই)
- মাছ (বিশেষত টুনা ও স্যামন)
- সাপ্লিমেন্ট এবং প্রোটিন পাউডার
- উচ্চ পটাসিয়ামযুক্ত খাবার
- অতিরিক্ত রান্না করা লাল মাংস
- মদ ও কোমল পানীয়
ক্রিয়েটিনিন কমানোর খাবার তালিকা
- ক্রিয়েটিনিন কমানোর খাবার তালিকা হলোঃ
- পর্যাপ্ত পানি এবং হাইড্রেশন
- ফল ও সবজি
- কম পটাসিয়ামযুক্ত ফল
- কম পটাসিয়ামযুক্ত সবজি
- বেরি জাতীয় ফল
- ভেষজ চা ও পানীয়(গ্রিন টি আথবা পুদিনা বা ড্যান্ডেলিয়ন চা)
- কম প্রোটিনযুক্ত খাবার
- লো-সোডিয়াম খাবার
- অলিভ অয়েল ও স্বাস্থ্যকর ফ্যাট
- আঁশসমৃদ্ধ খাবার
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url